নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে মাওয়ায় সুধী সমাবেশে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের দুয়ার রেল সার্ভিস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সরাসরি রেল যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হলো।
উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বেলা ১১টায় মাওয়ায় উদ্বোধন মঞ্চে ওঠেন শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এক সপ্তাহ পরে এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে চড়ে সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুর ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন।
পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল ট্রেন চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গা সংযুক্ত রেল সার্ভিস আজ খুলে দেওয়া হয় এবং এর যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯,২৪৬.৮০ কোটি টাকা। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১,০৩৬.৭০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।
প্রকল্পের বিশদ বিবরণে বলা হয়েছে, সমাপ্ত হওয়ার পর রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী শহরের প্রবেশ পথ আরো বর্ধিত হবে, যা মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে।